ওয়ার্ল্ড ট্রেড্ অরগানাইজেশন্ (WTO)
*বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা হল একটি সংগঠন যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-এর উপর তদারকি করে ও উদারভাব গড়ে তোলে ।
*এই গংগঠনটি সরকারিভাবে ১লা জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে (১৯৪৮ সালে গঠিত জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন টারিফ ও ট্রেডের পরিবর্তে) মায়াকেচ এগ্রিমেন্ট-এর অধীনে শুরু হয় ।
*বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রন দেখাশোনা করে । বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে কথাবার্তা বলা ও রীতিনীতি নির্ধারণ করে । এবং কোনো গোলযোগের পুনঃপ্রচলনের জন্য অংশগ্রহণকারীদের উপর জোর আরোপ করে এবং এই বিষয়ে পার্লামেন্টের দ্বারা সরকারি সদস্যদের প্রতিনিধিগণের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয় ।
*সব থেকে বেশি কাজ হল যে W.T.O. পূর্ববর্তী বাণিজ্যের ফলাফল আলোচনার মাধ্যমে প্রকাশ করা, বিশেষত উরুগুয়ে আলোচনা (১৯৮৬-১৯৯৪) ।
*বর্তমানে W.T.O.–র সদস্য সংখ্যা হল ১৬০ ।
* W.T.O.-র কার্যনির্বাহন সম্বন্ধীয় সম্মেলন প্রতি দু বছরে অন্তর অনুষ্ঠিত হয় । সর্বাপেক্ষা বাশি নীতি গঠন করাই এর উদ্দেশ্য ।
সম্মেলন | বছর | স্থান |
---|---|---|
প্রথম | ১৯৯৬ | সিঙ্গাপুর |
দ্বিতীয় | ১৯৯৮ | জেনেভা |
তৃতীয় | ১৯৯৯ | সিওটেল (ইউ.এস.এ) |
চতুর্থ | ২০০১ | দোহা (কাতার) |
পঞ্চম | ২০০৩ | কানকুন (মেক্সিকো) |
ষষ্ঠ | ২০০৫ | হংকং |
সপ্তম | ২০০৮ | জেনেভা |
অষ্টম | ২০১১ | জেনেভা |
নবম | ২০১৩ | বালি (ইন্দোনেশিয়া) |
দশম | ২০১৫ | নাইরোবি (কেনিয়া) |
একাদশ | ২০১৭ | বুয়েন আইরিশ (আর্জেনটিনা) |
দোহা উন্নয়ন সম্মেলন
*২০০১ সালে নভেম্বর মাসে W.T.O.-র দোহা উন্নয়ন সম্মেলন হল বর্তমান বাণিজ্য সম্মেলন । এর উদ্দেশ্য হল সারা পৃথিবী জুড়ে নীচু স্তরের ব্যাবসা-বাণিজ্য করা, যার মাধ্যমে বাধা কাটিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা । বর্তমানে প্রধান প্রধান সমস্যা ভাগ করার কথাবার্তা হয়, যেমন-কৃষি, শিল্প, শুল্ক তালিকা, শুল্ক বিহীন ব্যাবসা-বাণিজ্য, পরিসেবা এবং এগুলির প্রতিকার করা ।
*সব থেকে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য হল ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন-এর নেতৃত্বে উন্নতশীল দেশসমূহ (ই. ইউ), ইউ. এস. এ. এবং ভারতের নেতৃত্বে জাপান ও প্রধান প্রধান উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে যেমন ব্রাজিল, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ।
*ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউ. এস. এ-র মধ্যে এবং বিরুদ্ধে তাদের কৃষি ভিত্তিক আর্থিক সাহায্য-এর মাধ্যমে ব্যাবসা-বাণিজ্যে সহায়তা করা ।
*দোহায় (কাতারে) ২০০১ সালে দোহা সম্মেলন শুরু হয়েছিল । পরবর্তী কার্যনির্বাহ সম্বন্ধীয় আলোচনা কানুন (মেক্সিকো)-এ শুরু হয়ে ছিল ২০০৩ সালে, হংকং-এ ২০০৫ সালে, প্যারিসে ২০০৫ সালে, পোটসডাম (জার্মানি)-এ ২০০৭ সালে এবং জেনেভায় (সুইজারল্যান্ড) শুরু হয়েছিল ২০০৪, ২০০৬ এবং ২০০৮ সালে ।
*উন্নতশীল ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের জন্যই কৃষি ব্যবস্থা বিনা বিচারের বুষিয়সূচি হয়ে দাঁড়ায় । কৃষিব্যবস্থা উন্নয়নশীল দেশগুলির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ উন্নয়নশীল দেশ সমূহের ৭৫% লোক গ্রামে বাস করে এবং এরা কৃষি উপর জীবননির্বাহে নির্ভরশীল । ২০০১ সালে কাতারে প্রথম সিদ্ধান্তে বলা হয় বাজারের বাস্তবিক উন্নতির জন্য সব রকম রপ্তানির ভরতুকি কমিয়ে দেওয়া এবং বিকৃত অর্থ করা পর্যাপ্ত ব্যাবসা-বাণিজ্য হ্রাস সাধন করা ।
*ইউ. এস. এ. ইউরোপীয়ান ইউনিয়ান এবং ভারত ও ব্রাজিলের নেতৃত্বে উন্নতশীল দেশগুলিকে বলেছিল যে কৃষি ব্যবস্থার জন্য বাণিজ্য বিনাশ সাধন কমিয়ে নিজ দেশের সাহায্যের জন্য আরও উদার প্রকৃতির হতে । ইউ. এস-এ বদ্ধপরিকর হয়েছিল যে ইউরোপীয়ান ইউনয়ন ও উন্নতশীল দেশগুলি যেন শুল্ক কমাতে একমত হয় এবং সংবেদনশীল আমদানির সংখ্যা সীমিত করতে এবং বিশেষ বিশেষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে শুল্ক রেহাই করতে ।
*বেশির ভাগ আমদানি-সংবেদনশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হল-যেমন ইউরোপীয়ান ইউনয়ন আর যখন উন্নতশীল দেশগুলি বিশেষ উৎপাদন যেগুলি উভয়ক্ষেত্রেই শুল্ক মুক্ত এবং ভরতুকি হ্রাস করা হয় কারণ উন্নতি, খাদ্য নিরাপত্তা বা জীবিকা নির্বাহ বিবেচনা । ব্রাজিল বিকৃত-বাণিজ্যের উপর নিজস্ব ভরতুকি কমানোর ইচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে আর যখন ভারত খোলা বাজারে বিরাট সংখ্যক বিশেষ উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি জন্য দৃষ্টিগোচর করেছে ।
*যদিও আলোচনা থেকে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি দেখা জায়নি W.T.O. এইগুলি সম্বন্ধে অটলভাবে মনস্থির করেছে ।
*যেমন ২০১২ সালের মে মাসে দোহা সম্মেলনের ভবিষ্যতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ।