logo Menu
বাংলা ইতিহাস ভূগোল সাধারণ জ্ঞান গণিত ভৌত বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান ইংরেজি ভারতের সংবিধান অর্থনীতি শিশু মনস্তত্ত্ব পরিবেশ কম্পিউটার
     ❯   

ভারতের অর্থনীতি

ভারতের অর্থনীতি

ভূমিকা

ভারতের পরিকল্পনার ইতিহাস পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বেকারত্ব ভারতের দারিদ্র্য

সরকারি উদ্যোগ

সরকারি উদ্যোগ ভারতের বিভিন্ন উন্নয়ন ভারতের জাতীয় আয় কৃষি সবুজ বিপ্লব ভারতীয় কর কাঠামো

আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহ

আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ভাণ্ডার ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ ওয়ার্ল্ড ট্রেড অরগানাইজেশন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সংস্থা পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশ গ্রুপ 8(G-8) গ্রুপ 20(G-20) OECD BRICS ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন NAFTA APEC এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন BENELUX MERCOSUR উপসাগরি সহযোগিতা সংস্থা কেন্দ্রীয় আমেরিকা অখণ্ডতা পদ্ধতি

ভারতীয় অর্থনীতির বিবর্তন

আদমশুমারি-২০১১ ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি

ওয়ার্ল্ড ট্রেড্‌ অরগানাইজেশন্‌ (WTO)


*বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা হল একটি সংগঠন যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-এর উপর তদারকি করে ও উদারভাব গড়ে তোলে ।

*এই গংগঠনটি সরকারিভাবে ১লা জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে (১৯৪৮ সালে গঠিত জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন টারিফ ও ট্রেডের পরিবর্তে) মায়াকেচ এগ্রিমেন্ট-এর অধীনে শুরু হয় ।

*বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রন দেখাশোনা করে । বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে কথাবার্তা বলা ও রীতিনীতি নির্ধারণ করে । এবং কোনো গোলযোগের পুনঃপ্রচলনের জন্য অংশগ্রহণকারীদের উপর জোর আরোপ করে এবং এই বিষয়ে পার্লামেন্টের দ্বারা সরকারি সদস্যদের প্রতিনিধিগণের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয় ।

*সব থেকে বেশি কাজ হল যে W.T.O. পূর্ববর্তী বাণিজ্যের ফলাফল আলোচনার মাধ্যমে প্রকাশ করা, বিশেষত উরুগুয়ে আলোচনা (১৯৮৬-১৯৯৪) ।

*বর্তমানে W.T.O.–র সদস্য সংখ্যা হল ১৬০ ।

* W.T.O.-র কার্যনির্বাহন সম্বন্ধীয় সম্মেলন প্রতি দু বছরে অন্তর অনুষ্ঠিত হয় । সর্বাপেক্ষা বাশি নীতি গঠন করাই এর উদ্দেশ্য ।

সম্মেলন বছর স্থান
প্রথম ১৯৯৬ সিঙ্গাপুর
দ্বিতীয় ১৯৯৮ জেনেভা
তৃতীয় ১৯৯৯ সিওটেল (ইউ.এস.এ)
চতুর্থ ২০০১ দোহা (কাতার)
পঞ্চম ২০০৩ কানকুন (মেক্সিকো)
ষষ্ঠ ২০০৫ হংকং
সপ্তম ২০০৮ জেনেভা
অষ্টম ২০১১ জেনেভা
নবম ২০১৩ বালি (ইন্দোনেশিয়া)
দশম ২০১৫ নাইরোবি (কেনিয়া)
একাদশ ২০১৭ বুয়েন আইরিশ (আর্জেনটিনা)

দোহা উন্নয়ন সম্মেলন

*২০০১ সালে নভেম্বর মাসে W.T.O.-র দোহা উন্নয়ন সম্মেলন হল বর্তমান বাণিজ্য সম্মেলন । এর উদ্দেশ্য হল সারা পৃথিবী জুড়ে নীচু স্তরের ব্যাবসা-বাণিজ্য করা, যার মাধ্যমে বাধা কাটিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা । বর্তমানে প্রধান প্রধান সমস্যা ভাগ করার কথাবার্তা হয়, যেমন-কৃষি, শিল্প, শুল্ক তালিকা, শুল্ক বিহীন ব্যাবসা-বাণিজ্য, পরিসেবা এবং এগুলির প্রতিকার করা ।

*সব থেকে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য হল ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন-এর নেতৃত্বে উন্নতশীল দেশসমূহ (ই. ইউ), ইউ. এস. এ. এবং ভারতের নেতৃত্বে জাপান ও প্রধান প্রধান উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে যেমন ব্রাজিল, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ।

*ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউ. এস. এ-র মধ্যে এবং বিরুদ্ধে তাদের কৃষি ভিত্তিক আর্থিক সাহায্য-এর মাধ্যমে ব্যাবসা-বাণিজ্যে সহায়তা করা ।

*দোহায় (কাতারে) ২০০১ সালে দোহা সম্মেলন শুরু হয়েছিল । পরবর্তী কার্যনির্বাহ সম্বন্ধীয় আলোচনা কানুন (মেক্সিকো)-এ শুরু হয়ে ছিল ২০০৩ সালে, হংকং-এ ২০০৫ সালে, প্যারিসে ২০০৫ সালে, পোটসডাম (জার্মানি)-এ ২০০৭ সালে এবং জেনেভায় (সুইজারল্যান্ড) শুরু হয়েছিল ২০০৪, ২০০৬ এবং ২০০৮ সালে ।

*উন্নতশীল ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের জন্যই কৃষি ব্যবস্থা বিনা বিচারের বুষিয়সূচি হয়ে দাঁড়ায় । কৃষিব্যবস্থা উন্নয়নশীল দেশগুলির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ উন্নয়নশীল দেশ সমূহের ৭৫% লোক গ্রামে বাস করে এবং এরা কৃষি উপর জীবননির্বাহে নির্ভরশীল । ২০০১ সালে কাতারে প্রথম সিদ্ধান্তে বলা হয় বাজারের বাস্তবিক উন্নতির জন্য সব রকম রপ্তানির ভরতুকি কমিয়ে দেওয়া এবং বিকৃত অর্থ করা পর্যাপ্ত ব্যাবসা-বাণিজ্য হ্রাস সাধন করা ।

*ইউ. এস. এ. ইউরোপীয়ান ইউনিয়ান এবং ভারত ও ব্রাজিলের নেতৃত্বে উন্নতশীল দেশগুলিকে বলেছিল যে কৃষি ব্যবস্থার জন্য বাণিজ্য বিনাশ সাধন কমিয়ে নিজ দেশের সাহায্যের জন্য আরও উদার প্রকৃতির হতে । ইউ. এস-এ বদ্ধপরিকর হয়েছিল যে ইউরোপীয়ান ইউনয়ন ও উন্নতশীল দেশগুলি যেন শুল্ক কমাতে একমত হয় এবং সংবেদনশীল আমদানির সংখ্যা সীমিত করতে এবং বিশেষ বিশেষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে শুল্ক রেহাই করতে ।

*বেশির ভাগ আমদানি-সংবেদনশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হল-যেমন ইউরোপীয়ান ইউনয়ন আর যখন উন্নতশীল দেশগুলি বিশেষ উৎপাদন যেগুলি উভয়ক্ষেত্রেই শুল্ক মুক্ত এবং ভরতুকি হ্রাস করা হয় কারণ উন্নতি, খাদ্য নিরাপত্তা বা জীবিকা নির্বাহ বিবেচনা । ব্রাজিল বিকৃত-বাণিজ্যের উপর নিজস্ব ভরতুকি কমানোর ইচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে আর যখন ভারত খোলা বাজারে বিরাট সংখ্যক বিশেষ উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি জন্য দৃষ্টিগোচর করেছে ।

*যদিও আলোচনা থেকে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি দেখা জায়নি W.T.O. এইগুলি সম্বন্ধে অটলভাবে মনস্থির করেছে ।

*যেমন ২০১২ সালের মে মাসে দোহা সম্মেলনের ভবিষ্যতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ।