logo Menu
বাংলা ইতিহাস ভূগোল সাধারণ জ্ঞান গণিত ভৌত বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান ইংরেজি ভারতের সংবিধান অর্থনীতি শিশু মনস্তত্ত্ব পরিবেশ কম্পিউটার
     ❯   

ভারতের অর্থনীতি

ভারতের অর্থনীতি

ভূমিকা

ভারতের পরিকল্পনার ইতিহাস পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বেকারত্ব ভারতের দারিদ্র্য

সরকারি উদ্যোগ

সরকারি উদ্যোগ ভারতের বিভিন্ন উন্নয়ন ভারতের জাতীয় আয় কৃষি সবুজ বিপ্লব ভারতীয় কর কাঠামো

আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহ

আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ভাণ্ডার ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ ওয়ার্ল্ড ট্রেড অরগানাইজেশন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সংস্থা পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশ গ্রুপ 8(G-8) গ্রুপ 20(G-20) OECD BRICS ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন NAFTA APEC এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন BENELUX MERCOSUR উপসাগরি সহযোগিতা সংস্থা কেন্দ্রীয় আমেরিকা অখণ্ডতা পদ্ধতি

ভারতীয় অর্থনীতির বিবর্তন

আদমশুমারি-২০১১ ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি

ভারতের পরিকল্পনার ইতিহাস


  • ভারতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা শুরু করার প্রথম প্রয়াস ছিল ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত বিখ্যত প্রযুক্তিবিদ্‌ ও রাজনীতিবিদ্‌ স্যার এম. বিশ্বেশ্বরাইয়ার লেখা একটি বই ‘‘প্ল্যান্‌ড্‌ ইকনমি ফর ইন্ডিয়া ।”

  • ১৯৩৮ সালে ভারতীয় জাতীর কংগ্রেশ ছাড়া ‘‘জাতীয় প্লানিং কমিশন’’ স্থাপিত হয় যার চেয়ারম্যান ছিলেন জে. এল. নেহেরু কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া এবং ভারতের ইতিনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের ফলে কোনো সুপারিশ কার্যকর করা যায় নি ।

  • ১৯৪৪ সালে মুম্বাইয়ের ৮ জন প্রধান শিল্পপতির দ্বারা ‘‘মুম্বাই পরিকল্পনা’’ বা ‘‘মুম্বাই প্ল্যান’’ উপস্থাপিত হয়েছিল ।

  • ১৯৪৪ সালে এস. এন. আগরওয়াল ‘‘গান্ধিয়ান পরিকল্পনা’’ না ‘‘গান্ধিয়ান প্ল্যান’’ দিয়েছিলেন ।

  • ১৯৪৫ সালে এম. এন্‌ রায়ের দ্বারা ‘জনগণের পরিকল্পনা’ বা ‘‘পিপল্‌স্‌ প্ল্যান’’ উপস্থাপিত হয়েছিল ।

  • ১৯৫০ সালে ‘‘ সুর্বোদয় প্ল্যান’’ উপস্থাপন করেছিলেন জে. পি. নারায়ণ । এই পরিকল্পনার অল্প কয়েকটি বিষয় ভারত সরকার দ্বারা গৃহীত হয় ।


নীতি আয়োগ

  • নীতি আয়োগ বা National Institution of Transforming India Aayog. পরিকল্পনা কমিশনের বিকল্প রূপে তৈরি করেছে ভারত সরকার যা দেশ এবং রাজ্যগুলিকে অর্থনৈতিক উন্নতির দিশ দেখানো । নীতি আয়োগ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে, আর্থিক উন্নয়নের এবং তার প্রযুক্তিগত দিকগুলো সম্পর্কে পরামর্শ দেবে ।

  • 2014 সালে 13 আগস্ট নীতি আয়োগ গঠন করা হয় এবং 1st জানুয়ারি 2015 পরিকল্পনা কমিশনকে বাতিল করে নীতি আয়োগের সূচনা করেন ভারত সরকার ।


সদস্যগণ

  • প্রধানমন্ত্রি চেয়ারম্যন হিসাবে থাকবে ।

  • গভর্নমেন্ট কাউন্সিলে সকাল রাজ্য মুখ্যমন্ত্রি ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ।

  • কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য অস্থায়ী কাউন্সিল গঠন কালে ঐ অঞ্চলে মুখ্যমন্ত্রি ওই নির্দিষ্ট কাজের জন্য কমিটি গঠন করে । এই ক্ষেত্রে ঐ কমিটি চেয়ারম্যান নির্ধারিত হবে নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান বা তার মনোনীত কোনো ব্যক্তি ।

  • কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য বিশেষ পরামর্শদাতা হিসাবে কোনো দক্ষ, বিশেষজ্ঞ বা ব্যক্তিকে বিশেষভাবে অতিথি সদস্য হিসাবে আমন্ত্রণ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী ।

*পূর্ণ সময়ের জন্য সাংগঠনিক কমিটি (প্রধান মন্ত্রি মর্যাদা চেয়ারম্যান)

  • 1. ভাইস চেয়ারম্যান।

  • 2. পূর্ণসময় সদস্য ২ জন।

  • 3.আংশিক সময় সদস্য সর্বাধিক দুজন । যারা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজে নিযুক্ত । যারা নিযুক্ত হবে কোনো গবেষণা কেন্দ্র থেকে । এরা সর্বদা পরিবর্তনশীল।

  • 4. অতিরিক্ত অফিসিয়াল সদস্য- সর্বাধিক চার জন্য সদস্য মননোনীত করা যাবে । এই সদস্য সাধারণত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার সদস্য হতে হবে যে প্রধানমন্ত্রী দ্বারা মনোনীত হবে।

  • 5. সিইও (Chief Executive Officer) একটি স্থায়ীপদ প্রধানমন্ত্রী দ্বারা মনোনীত একজন অর্থনীতিবিদ যে একজন সরকারি আমলা হতে হবে।

  • 6. সিইও তার প্রয়োজনে বিশেষ অতিথি সদস্যদের আমন্ত্রণ করতে পারে।


নীতি আয়োগ ও পরিকল্পনা কমিশনের মধ্যে তফাত

  • আর্থিক পরামর্শ : নীতি আয়োগ হল একটি উপদেষ্টা কমিটি বা বিশ্লেষক ও পথনির্দেশক যারা আর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পরিকল্পনা রূপায়ণে সাহায্য করে । পরিকল্পনা কমিশন পূর্বে কোনো পরিকল্পনা প্রস্তাব রেখেছে বা তৈরি করেছে মন্ত্রী বা রাজ্য সরকার সেটাকে অনুসরণ করবে ।

  • পূর্ণ সময়ের সদস্য : নীতি আয়োগে পূর্ণ সময়ের সদস্য পরিকল্পনা কমিশন অনুযায়ী হয়েছে ।

  • রাজ্য বা অঙ্গরাজ্যের নিয়ম : নীতি আয়োগে রাজ্য সরকার কোনো পরিকল্পনা অধিক গুরুত্ব পাওয়ার আইন বা নিয়ম । এক্ষেত্রে নিদৃষ্ট কমিটি গঠন করে তার বিভিন্ন দিক ক্ষতিয়ে দেখা হবে । কিন্ত পরিকল্পনা কমিশনে রাজ্য প্রাপ্তি খুব সামান্য রাজ্যের কোনো পরিকল্পনা জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদে এবং বার্ষিক সভায় আলোচনার জন্য রাখা হত ।

  • সিইও সদস্য পদ : এই পদটি নীতি আয়োগ ও পরিকল্পনা কমিশন একই পদ্ধতি অনুযায়ী নির্ধারিত ।

  • আংশিক সময়ের সদস্য : নীতি আয়োগ এই সদস্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাখা হয় বিশেষ প্রয়োজন কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনে কোনো সদস্য একা পদ ছিল না ।

  • সংবিধান : নীতি আয়োগের গভর্নি কাউন্সিলে রয়েছে প্রধামন্ত্রী ও লেফটেন্যান্ট জেনারেলগন । কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন রিপোর্ট জমা হত জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদে যার সদস্য ছিল প্রধানমন্ত্রী ও লেফটেন্যান্ট জেনারেলগন ।

  • কমিটি : নীতি আয়োগে নতুন পদ হল সিইও এবং ভাইস চেয়ারপার্স এছাড়া রয়েছে পাঁচজন পূর্ণ সদস্য । দুজন আংশিক সদস্য ও চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ।পরিকল্পনা কমিশনে ডেপুটি চেয়ারম্যান একজন । Secretay এবং পূর্ণ সময়ের সদস্য ।

  • বরাদ্দ : নীতি আয়োগ শুধু একটি Think tank । এদের কোনো ক্ষমতা নেই । শুধুমাত্র কোনো পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে । কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন পরিকল্পনা তৈরি করে রাজ্যের তহবিলে অর্থ বরাদ্দ করে পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য সচেষ্ট হত ।


পরিকল্পনা কমিশন

  • মন্ত্রীসভার প্রস্তাবে ১৯৫০ সালের ১৫ই মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর চেয়ারম্যান-শিপে ভারতের পরিকল্পনা কমিশন গঠিত হয় ।

  • এটি একটি সংবিধান বহির্ভূত, অসংবিধি মন্ডলী ।

  • পরিকল্পনা কমিশনে প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা নিয়োজিত একজন ডেপুটি-চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন পূর্ন সময়ের সদস্য থাকেন ।

  • সদস্য ও ডেপুটি-চেয়ারম্যানের কাজের মেয়াদ স্থিরিকৃত নয় । সদস্যদের নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা থাকে না এবং প্রয়োজন অনুজায়ী সরকার দ্বারা নিয়োজিত হয় । সদস্য সংখ্যা সরকারের ইচ্ছে অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় ।


কাজ

  • দেশের দ্রব্য উৎপাদন, মূলধন এবং মানবিক সম্পদের মূল্যায়ন করা।

  • দেশীয় সম্পদের খুবই ফলপ্রসূ ও যথাযথ ব্যবহারের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা।

  • পরিকল্পনার বিভিন্ন পর্যায় নির্ধারণ করা এবং সম্পদ বন্টনে বৈষম্য হ্রাসের প্রস্তাব রাখা।

  • সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলী হিসাবে কাজ করা।

  • সময়মতো উন্নয়নের প্রতিটি পর্যায় পর্যালোচনা করা এবং সমাধানের পরামর্শ দেওয়া।

  • কমিশনে প্রেরিত কোনো বিশেষ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে সময়মতো পরামর্শ দান করা।


কেন্দ্রীয় উন্নয়ন পরিষদ

  • পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক উদ্ভাবিত সমস্ত পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় উন্নয়ন পরিষদ দ্বারা প্রথমে অনুমোদিত হয় । কেন্দ্রীয় উন্নয়ন পরিষদ গঠিত হয়েছিল রাষ্ট্রের সঙ্গে পরিচালনা কমিশনের সহযোগিতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ।

  • এটি একটি সংবিধান ও সংবিধি বহির্ভূত বর্গ ।

  • সরকারি প্রস্তাবে ১৯৫২ সালের ৬ই আগস্ট স্থাপিত এই বর্গে প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে চেয়ারম্যানশিপের দায়িত্বে থাকেন এবং অন্যান্য সদস্যরা হলেন কেন্দ্রের প্রত্যেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী, প্রত্যেকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও আর্থমন্ত্রী’ প্রত্যেক কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের লে. গভর্নর এবং প্রতিটি কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্যের গভর্নর ।


রাজ্য পরিকল্পনা পর্ষদ

  • রাজ্য পর্যায়ে সর্বোচ্চ পরকল্পনা মন্ডল হচ্ছে রাজ্য পরিকল্পনা পর্ষদ যা চেয়ারম্যান হিসাবে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীরা এবং কিছু অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ্‌ নিয়ে গঠিত হয়।

  • জেলা পরিকল্পনা মন্ডলীও তৈরি হয় সরকারি কর্মচারী এবং বেসরকারি সদস্য সহ।