সংগম যুগ
সংগম যুগ
পান্ড্য বংশ
এদের রাজধানী ছিল মাদুরাই।
মেগাস্থিনিস-এর প্রথম বিবরণে জানা যায় যে তাদের রাজ্য এক মহিলা শাসন করতেন এবং রাজ্যটি মুক্তোর জন্য বিখ্যাত ছিল। রোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে ব্যাবসা করে পাণ্ড্য রাজারা লাভবান হয়েছিল এবং রোমান সম্রাট অগাস্টাসের কাছে তিনি দূত পাঠিয়েছিলেন।
চোল বংশ
চোলদের রাজ্যকে বলা হত চোল মন্ডলম বা করমন্ডল। প্রধান কেন্দ্রের নাম ছিল উরাইয়র যেটি কার্পাস ব্যাবসার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। রাজধানী ছিল কাবেরীপত্তনম বা পুহার।
কারিবালা ছিলেন তাদের প্রসিদ্ধ রাজা।
ধনসম্পদের আসল উৎস ছিল সুতি কাপড়ের ব্যাবসার মাধ্যমে।
চের বংশ
চেরদের রাজধানী ছিল ভানজি; একে কেরালা দেশও বলা হত।
রোমানদের সঙ্গে ব্যাবসাবাণিজ্যের বিষয়ে এরা ঋণী ছিল। রোমানদের স্বার্থরক্ষার্থে তারা সৈন্যবাহিনী গঠন করেছিল।
অন্যান্য তিন রাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গি
এই রাজ্যগুলির তথ্য সঙ্গম সাহিত্য থেকে পাওয়া গিয়েছে। সংগম হল একটি মহাবিদ্যালয় বা তামিল কবিদের সমিতি এবং বিশেষত এটি পাণ্ড্য রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত হয়েছিল।
সংগম সময়কাল হল প্রাক গুপ্ত যুগ ও উত্তর মৌর্যযুগের সময়কাল। তিনটি সংগম গঠিত হয়েছিল। মাদুরাই-এ প্রথম সঙ্গম অনুষ্ঠিত হয়েছিল কিন্তু তার কার্যাবলি সেরকম ফলপ্রসূ হয়নি। দ্বিতীয় সংগম অনুষ্ঠিত হয়েছিল কপটপুরম-এ। এর সভাপতি ছিলেন টোলকাপিয়ার (টোলকাপিয়াম-এর লেখক)। তৃতীয় সংগম অনুষ্ঠিত হয়েছিল মাদুরাই-এ। এর সভাপতি ছিলেন নাক্কিরার। এই তৃতীয় সংগমেই সংগম সাহিত্যে সম্পূর্ণ সংকলন লিপিবদ্ধ হয়েছিল।
এই সময়কালের বিখ্যাত মহাকাব্যগুলি হল ইলানো আদিকালের লেখা শিলাপাদিকরম (বরকনের বিবাহ) এবং সাত্তানরের লেখা মণিমেকালাই।
অন্যান্য বইগুলি হল টোলিকাপিয়া-এর লেখা টোলিকাপিয়াম, তিরুতাকদেওর এর জীবিকাচিন্তামণি এবং তিরুভাল্লুভর-এর কুরুল (পঞ্চম বেদ বা তামিলভূমির বাইবেল বলা হয়)।
স্থানীয় প্রধান দেবতা হলেন মুরুগানঃ যাঁকে সব্রমানীয়ও বলা হয়।
কৃষি শ্রমিকদের পারিয়ার বলা হত এবং তারা পশু চামড়া পরে কাজ করত।
ভেল্লাস যাদের ধনী কৃষ্ক বলা হত তাদের নিয়ে অসামরিক ও সামরিক কর্মচারী নিয়োগ করা হত।
মৌলিক কাজকর্মের জন্য সৈন্যদলের দলপতিকে ‘এনারি’ বলা হত।