logo Menu
বাংলা ইতিহাস ভূগোল সাধারণ জ্ঞান গণিত ভৌত বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান ইংরেজি ভারতের সংবিধান অর্থনীতি শিশু মনস্তত্ত্ব পরিবেশ কম্পিউটার
     ❯   

ইতিহাস চর্চা

ইতিহাস

প্রাচীন ভারত

প্রাগৈতিহাসিক যুগ সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা হরপ্পা সভ্যতা মহেন-জো-দারো সভ্যতা বৈদিক যুগ ঃ আর্য সভ্যতা প্রাগবৈদিক যুগ বা ঋগ্‌বৈদিক যুগ পরবর্তী বৈদিক যুগ মহাজনপদ বৌদ্ধ ও জৈন মগধ সাম্রাজ্য আলেকজান্ডার মৌর্য সাম্রাজ্য মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ মৌর্য পরবর্তী যুগ সংগম যুগ গুপ্ত সাম্রাজ্য অন্যান্য রাজবংশ এবং শাসকগণ

মধ্যযুগের ভারত

গজনির মহমুদ মহম্মদ ঘোরী পৃথ্বীরাজ চৌহান ইলাবরি রাজত্ব খলজি বংশ তুঘলক বংশ সৈয়দ বংশ লোদী বংশ ধর্মীয় আন্দোলন বিজয় নগর সাম্রাজ্য বাহমানি সাম্রাজ্য মুঘল সাম্রাজ্য আঞ্চলিক শক্তির উত্থান

আধুনিক ভারত

ইউরোপীয়োদের আবির্ভাব গভর্নর জেনারেল সিপাহি বিদ্রোহ ১৮৫৭ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উত্থান ভারতের রাজপ্রতিনিধি ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপ সাংবিধানিক উন্নয়ন ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বিংশ শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধসমূহ

ইলাবরি রাজত্ব


দিল্লির সুলতানগণ


দিল্লির সুলতান পাঁচটি (১২০৬-১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ) রাজত্বকালঃ

  • (ক) ক্রীতদাস বা ইলাবরী বংশ (১২০৬-১২৯০)

  • (খ) খলজি বংশ (১২৯০-১৩২০)

  • (গ) তুঘলক বংশ (১৩২০-১৪১৩)

  • (ঘ) সৈয়দ বংশ (১৪১৪-১৪৫১)

  • (ঙ) লোদি বংশ (১৪৫১-১৫২৬)


ইলাবরি রাজবংশ বা ক্রীতদাস রাজবংশ

ক্রীতদাস রাজবংশের মধ্যে তিনটি বংশ যেমন-কুতুব-উদ-দিন-আইবক, ইলতুতমিস বংশ ছিল ক্রীতদাস বংশ এবং তারা প্রভুকর্তৃক মুক্ত হয়েছিল। এবং একে ইলাবরি রাজত্বকালে বলা হত কারণ আইবক ছাড়া এই বংশের শাসকেরা ছিলেন তুরস্কের ইলাবরি জাতির অন্তর্ভুক্ত।


কুতুব-উদ-দিন-আইবক (১২০৬-১২১০)

  • মহম্মদ ঘোরী তার ভারতের অধিকার ঘোরির হাতে ছেড়ে দেন। তার প্রভুর মৃত্যুর পর রাজ্যশাসন করতেন এবং রাজত্বস্থাপন করেন।

  • লাহোর এবং পরবর্তীকালে দিল্লি তাঁর রাজধানী ছিল।

  • তাঁর মহানুভবতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন এবং লাখ-বাখ (লক্ষ লক্ষের দাতা) তাঁর ডাকনাম ছিল।

  • বিখ্যাত সুফিসেন্ট খাজা কুতুবদ্দিন বখতিয়ার কাকির নামে তিনি কুতুম মিনার এর ভিত্তি নির্মাণ করেন।

  • চৌগান (পোলো)খেলার সময় ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তুরস্কীয়রাই ভারতে পোলো খেলার প্রবর্তন করেন।

  • দিল্লিতে কোয়ায়ত-উল-ইসলাম নামে এবং আজমীরে (সোনাপাড়া)আদাই-দিন-কা নামে ভারতে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন।

  • তিনি একজন মহান বিদ্যোৎসাহী ছিলেন এবং তাজ-উল-মাসির লেখক হাসান নিজামি এবং তারিখ-ই মুবারকশাহী-র লেখক ফকরুদ্দিন-এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।


আরাম শাহ (১২১০)

  • যখন লাহোরে হঠাৎ কুতুব-উদ-দিন আইবক মারা যান তখন লাহোরের আমির ও মালিকগণ আরাম শাহকে সিংহাসনে বসান। কিছু কিছু পাঠ্য বইয়ে লেখা আছে যে তিনি হলেন আইবক-এর পুত্র আবার অনেকে একথা অস্বীকার করে।

  • তিনি ছিলেন দুর্বল ও অকর্মণ্য সে কারণে দিল্লির জনসাধারণ তাঁকে ত্যাগ করেন। সেই সময়কার বদাউলের শাসনকর্তা ইলতুতমিস তাঁকে পরাজিত করেন এবং সিংহাসন দখল করেন।


ইলতুতমিস (১২১০-১২৩৬)

  • সামসুদদিন ইলতুতমিস ছিলেন আইবকের জামাতা। তাঁকে তুরস্কের ক্রীতরাজাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত করা হয়। এবং তিনিই ভারতে তুরস্ক শাসন দৃঢ় করেন।

  • তিনি রণথম্বর, জালোর, গোয়ালিয়র, আজমির এবং মালওয়া-র রাজপুত্রদের বিদ্রোহ দমন করেন।

  • ইরানের শাসনকর্তা খান জালালুদ্দিন মাক্ষগাবারানি কে অস্বীকার করে চেঙ্গি খানের আক্রমণকে তিনি প্রতিহত করেন। রাজনৈতিক নিপুণতার দ্বারা তিনি মঙ্গল আক্রমণও প্রতিরোধ করেন।

  • বাগদাদের খলিফা কর্তৃক দিল্লির সুলতান হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন। এবং ইসলামিক রাষ্ট্রের বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের সভ্য হন।

  • চল্লিশজন শক্তিশালী তুরস্কীয় সম্ভ্রান্ত বর্গকে দমন করতে টারকান-ই-চাচাল গানি বা চালিশা গঠন করেন।

  • তিনি ইকতা প্রথার প্রচলন করেন-মাহিনার পরিবর্তে ভূমিদান-তিনি রাজকর্মচারীদের মধ্যে বন্টন করেন। প্রত্যেক ইকতারগণকে আইন ও আদেশ মেনে চলতে হত এবং রাজস্ব আদায় করতে হত। তার মাহিনা, এবং সরকারের খরচ বাদ দিয়ে উদবৃত্ত আয় কেন্দ্রিয় সরকারের কাছে পাঠানো হত। ইকতারগণকে বদলি করা হত।

  • সুলতানরাজত্বে তিনি লেখক সিনাহাজ-উল-সিরাজ এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। দিল্লিতে সুলতান গরহি নির্মাণ করেন এবং তাঁকে সমাধি নির্মাণের জনক বলা হয়। রাজিয়কে পরবর্তী উত্তরা ঘোষণা করে তিনি সাধারণ অবস্থা থেকে বিচ্যুত হয়েছিলেন।


কুতুব মিনার

দিল্লির কুতুবমিনার পৃথিবীর মধ্যে উচ্চতম ইঁটের তৈরি স্মৃতিস্তম্ভ। এটি ৭২.৫ মিটার (২৩৯ ফুট)উঁচু। এর ব্যাস ১৪.৩ মিটার এবং উঁচুতলাটির ব্যাস হল ২.৭ মিটার। আফগানিস্তানের জাম-এর স্মৃতিস্তম্ভের ওপর অনুপ্রাণিত হয়ে এবং এটির থেকে বেশি উঁচু স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করে ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে আইবকে কুতুব মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু এটির নীচের অংশটির নির্মাণ সম্পূর্ণ করেন। তাঁর উত্তরসূরি ইলতুতমিস আরও তিনটি তলা সম্পূর্ণ করেন এবং ১৩৬৮ খ্রিস্টাব্দে ফিরোজ শাহ তুঘলক পঞ্চম এবং সর্বশেষ তলাটি নির্মাণ করেন। স্থাপত্য শৈলির উন্নয়নে এই স্ম্রৃতিস্তম্ভ আইবক থেকে তুঘলকের স্বান বহন করে। লাল বেলে পাথর দিয়ে এটি নির্মিত এবং কোরানের শ্লোক এর মধ্যে লিখিত আছে। এই সুন্দর সৌধ নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে অনুমান করা যায়। যে এটির ভূমিকা পৃথক-মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য ডাক দেওয়ায় এটির নাম হয় কোয়ায়ত-উল-ইসলাম মসজিদ। এর ব্যবহারের অন্যান্য কারণ হল-এটি একটি বিজয়স্তম্ভ, ইসলামের শক্তির তাৎপর্য বহন করে বা সেনাবাহিনীর লক্ষরাখা সৌধ হিসাবে ব্যবহার করা। আলা-উদ-দিন খলজি কুতুব মিনারের কাছে আলাই মিনার অন্য একটি সৌধ নির্মাণ শুরু করেছিলেন যেটি কুতুব মিনার তুলানায় দ্বিগুণ উচ্চতা বিশিষ্ট হত। যদিও আলা-উদ-দিন ২৪.৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট প্রথম তলাটি নির্মাণ করেছিলেন কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আইবক কর্তৃক কোয়ায়ত-উল-ইসলাম মসজিদ নামে এটি নির্মিত হয়। কথিত আচগে যে ২৯টী হিন্দু মন্দির এবং উজন মন্দির ধ্বংস করে এটি নির্মিত হয়। ১২৩৫ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট কর্তৃক কোয়ায়ত-উল-ইসলাম মসজিদের পশ্চিমে ইলতুতমিসের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়। এই সৌধের মনোরম সিংহদ্বার হল আলা-ই-দরওয়াজা। এটি আলা-উদ-দিন খলজি কর্তৃক নির্মিত। কুতুব মিনারের পিছনে নির্মিত লৌহস্তম্ভটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কৌতূহল উদ্রেক করে। এই স্তম্ভটি শতকরা ৯৮ ভাগ শক্ত, নমনীয় যে লোহায় মরচে ধরে না সেই লোহার তৈরি। এটির উচ্চতা (৭.২১ মিটার)বা ২৩ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা এবং এর ব্যাস ১৬ ইঞ্চি (০.৪১ মিটার)। গুপ্ত রাজবংশের চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্য এটি নির্মাণ করেন। ১৬০০ বছর ধরে এটি একইভাবে দন্ডায়মান, স্থপতি এবং আবহবিদদের এটি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এটির চারিদিকে একটি বেড়া দেওয়া আছে কারণ জনশ্রুতি আছে যে কেউ যদি এটা তার পিঠ স্পর্শ করতে পারে বা এটির পিছনে হাত স্পর্শ করতে পারে তাহলে সে সৌভাগ্যবান হয়।


রুকনুদ্দিন ফিরোজ শাহ (১২৩৬ খ্রিস্টাব্দ)

  • ইলতুতমিসের অনেক পুত্র ছিল কিন্তু তারা সিংহাসনে আরোহণের অযোগ্য সেকারণে তিনি তাঁর কন্যা রাজিয়াকে উত্তসূরি নির্বাচিত করলেন। ইহা সত্ত্বেও রাজসভার গণ্যমাণ্যগণ স্ত্রীলোকের কাছে মাথা নত করতে চাননি। চেয়েছিলেন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র রুকনুদ্দিন ফিরোজ শাহকে সিংহাসনে বসাতে। কিন্তু তিনিও ছিলেন অপদার্থ।

  • তিনি হাতির পিঠে চড়ে দিল্লি শহর প্রদক্ষিণ করতে ভালবাসতেন এবং জনসাধারণে সোনাদানা দান করতে ভালো বাসতেন। সরকারি কাজকর্ম তাঁর উচ্চকাঙ্খী মায়ের হাতে সঁপে দিয়েছিলেন। তাঁর মা ছিলেন আসলে একজন তুরস্কীয়। অল্প বয়সে তাঁকে যারা জ্বালাতন করত তাদের প্রতি তিনি প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন।

  • একারণে চারিদিকে বিদ্রোহ মাথা চাড়া দিল। সর্বশেষ রুকনুদ্দিন ও তাঁর মা মারা গেলেন এবং রাজিয়া সিংহাসনে আরোহণ করলেন।


রাজিয়া (১২৩৬-১২৪০ খ্রিস্টাব্দ)

  • মধ্যযুগে ভারতে রাজিয়া হলেন প্রথম এবং শেষ মহিলা শাসনকর্তা। ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁর ভাইয়ের পরে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং সাড়ে তিন বছর রাজত্ব করেন।

  • তিনি পর্দাপ্রথাকে অসম্মান করতেন এবং পুরুষের পোশাক পরিধান করতেন ও হাতির পিঠে চড়ে জনসাধারণের সামনে উপস্থিত হতেন।

  • তিনি জামালুদ্দিন ইয়াকত নামে একজন আবেসনীয়কে আস্তাবলের গুরুত্ব পদের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করলেন। এর ফলে তুরস্কীয় গণ্যমাণ্য কর্মচারীগণ কূপিত হলেন। তাঁর রাজ্যে বিভিন্ন অংশে বিদ্রোহ দেখা দিল। লাহোরের শাসনকর্তা প্রথম তাঁর বিরোধিতা করলেন কিন্তু তিনি পরাজিত হলেন।

  • ভাতিন্দায় ভয়ংকর বিদ্রোহ দেখা দিল। ভাতিন্দার শাসনকর্তা মালিক ইখতিয়ার উদ্দিন আলতানিয়া রাজিয়ার আনুগত্য মানতে অস্বীকার করলেন। ইয়াকতকে সঙ্গে নিয়ে রাজিয়া আলতানিয়ার বিরুদ্ধে সৈন্য পরিচালনা করলেন। পথে আলতানিয়ার অনুচরেরা ইয়াকতকে হত্যা এবং রাজিয়াকে বন্দি করল। তিনি এই পরিস্থিতি সামলাতে আলতানিয়াকে বিবাহ করলেন। কিন্তু ফেরার পথে ইলতুতমিসের পুত্র বাহরাম শাহের হাতে তিনি ও তাঁর স্বামী নিহত হলেন।

  • নিজ সৈন্যদলে রাজিয়া ছিলেন শ্রেষ্ঠ অশ্বারোহী। তাঁর একমাত্র সমস্যা ছিল তিনি একজন মহিলা।


বি.দ্র.- রাজিয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে যে সকল শাসকদের যুদ্ধ ঘটেছিলঃ

  • মুইজুদ্দিন বাহরাম শাহ (১২৪০-১২৪২ খ্রিস্টাব্দ)

  • আলাউদ্দিন মাসুদ শাহ (১২৪২-১২৪৬ খ্রিস্টাব্দ)

  • নাসিরুদ্দিন মেহমুহ (১২৪৬-১২৬৫ খ্রিস্টাব্দ)


বলবন (১২৬৬-১২৮৬ খ্রিস্টাব্দ)

  • বলবন চালসার সদস্য ছিলেন। নিজেকে রক্ষা করার জন্য ইলতুতমিসের প্রতিটি সদস্যকে হত্যা করেন এবং তুরস্কীয় গণ্যমান্যদের মৃত্যু-আঘাত দেন (চালিসা)। তিনি সৈন্যবিভাগ ও অর্থবিভাগের পৃথকীকরণ করেন (দেওয়ান-ই উইজারত)এবং সৈন্যবিভাগকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অধীনে আনেন (দেওয়ান-ই আরিজ)।

  • তিনি ঘোষণা করেন সুহান-ই-হল পৃথিবীতে ভগবানের প্রতিনিধি। তিনি জোর দিয়ে জনগণকে বলেন যে সম্রাট হলেন ভগবানের অধীন (ঐয়াবাত-ই-খুদায়ই)এবং ভগবানের ছায়া এবং সেখানে জনসাধারণ নতজানু হয়ে মাথা নত করে ভূমি স্পর্শ করে সুলতানকে অভিবাদন করবে। তিনি উলেমারদের ধর্মীয় কাজে নিয়োজিত থাকতে বললেন কিন্তু রাজনীতিত্তে অংশগ্রহণ না করার আদেশ প্রচলন করেন। তিনি নৌরাজ উৎসব শুরু করলেন।

  • জনসাধারণের বিশ্বাস অর্জনের জন্য তিনি সম্পূর্ণ পক্ষাপাতহীন ভাবে শাসনকার্য পরিচালনার কথা বলেন। তিনি দক্ষ গোয়েন্দা বাহিনীর প্রচলন করেন। পারস্য সাহিত্যের প্রতি তাঁর নমনীয় মনোভাব পরিলক্ষিত হয়, আমির ঘসরুর প্রতি তিনি বিশেষ অনুরাগ প্রদর্শন করেন।

  • তিনি স্বজাতির প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত ছিলেন এবং অতুরস্কীয়দের শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণের বাইরে রেখেছিলেন। মঙ্গলদের বিরুদ্ধে সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী শক্তিশালী করেছিলেন।

  • মঙ্গলদের বিরুদ্ধে সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী শক্তিশালী করেছিলেন।

  • কিন্তু তাঁর পুত্রের মৃত্যুতে বলবন বিরাট আঘাত পেয়েছিলেন এবং এটি ছিল তাঁর রাজত্বের মৃত্যুঘন্টা।

  • বলবনের মৃত্যুর পর কৈকুবাদ (১২৮৭-১২৯০ খ্রিস্টাব্দ)সিংহাসনে আরোহণ করেন কিন্তু তিনি ছিলেন অদক্ষ এবং কৌতুকপ্রিয়।