মহাজনপদসমূহ
মহাজনপদসমূহ
| মহাজনপদ সমূহ | রাজধানী | বর্তমান অবস্থান | |
|---|---|---|---|
| ১ | কোশী | বারাণসী | বারাণসী ঘিরে অঞ্চল |
| ২ | কোশল | শ্রাবস্তী | উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশ |
| ৩ | অঙ্গ | চম্পানগরি | বিহারের ভোগল এবং মুঙ্গের জেলা |
| ৪ | মগধ | গিরিরাজ বা রাজগৃহ | পাটনা ও গয়া জেলা |
| ৫ | বাজি | বৈশাখী | বিহারের বৈশালী জেলা |
| ৬ | মাল্লা | কুশীনগর এবং পাওয়াপুরী | বৈশালী জেলার দক্ষিণাংশ |
| ৭ | চেদী | সুকতিমতি | আধুনিক বুন্দেলখন্ডের পূর্বাংশ |
| ৮ | বাৎস | কৌশাম্বী | বর্তমান এলাহাবাদ ঘিরে অঞ্চল |
| ৯ | কুরু | হস্তিনাপুর, ইন্দ্রপ্রস্থ এবং ইসুকারা | দিল্লি, মিরাট ঘিরে অঞ্চল |
| ১০ | পাঞ্চাল | অহিছত্র ও কামপিল্য | রোহিলখন্ড |
| ১১ | মৎস | বিরাটনগর | জয়পুর, ভরতপুর ও আলোয়ার জেলা |
| ১২ | সুরসেন | মথুরা | মথুরা অঞ্চলে |
| ১৩ | অসকা | পৌন্য | মহারাষ্ট্রের পৈথানের কাছাকাছি অঞ্চল |
| ১৪ | অবন্তী | উজ্জয়িনী | উজ্জয়িনী জেলা |
| ১৫ | গান্ধার | তক্ষশিলা | কাবুল ও রাওয়ালপিন্ডির মধ্যবর্তী অঞ্চল |
| ১৬ | কম্বোজ | রাজপুর | কাশ্মীরের পুঞ্চ অঞ্চল |
খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ শতাব্দীর পরে উত্তরপ্রদেশে ও বিহারে ব্যাপক লোহার ব্যবহারের জন্য ওই দুটি অঞ্চল বিরাট অঙ্গরাজ্য হিসাবে গঠিত হয়।
নতুন কৃষিযন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে কৃষির বিরাট উন্নতি সাধন হয় এবং উদ্বৃত্ত ফসল রাজ্য সংগ্রহ করে সেনাবাহিনী ও শাসন ব্যবস্থার খরচ নির্বাহ করত।
আগের জনপদগুলিকে উন্নত করে মহাজনপদ তৈরি করা হল। হিমালয় এবং নর্মদার মধ্যবর্তী অঞ্চলকে ১৬টি ভাগে ভাগ স্বাধীন রাজ্যে বা মহাজনপদে পরিণত করা হল।
বি.দ্রঃ
ষোড়শ মহাজনপদ-এর মধ্যে পাঁচটি ছিল অন্যান্যগুলির চাইতে সক্রিয় বা শক্তিশালী। এই পাঁচটি জনপদ হল-মগধ, কাশী, অবন্তী, কোশল এবং ভাজ্জি।
ভাজ্জিতে ছিল আট থেকে নয়টি দল যাদের মধ্যে লিচ্ছবি, বিধেহান, জ্ঞানত্রিকা এবং ভাজ্জি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
অযোধ্যা, সাকেতা, বেনারস এবং শ্রাবস্তী ছিল কোশলের প্রধান নগরী।
কুশীনগর (বুদ্ধদেব-এর মহাপরিনির্বাণ জন্য বিখ্যাত)এবং পাওয়াপুরী (মহাবীর-এর মৃত্যু স্থান)মাল্লা গণতন্ত্রের রাজধানী।