লোদী বংশ
লোদী বংশ
তারা ছিল আফগান বাসিন্দা (ভারতবর্ষে তারাই প্রথম আফগান সাম্রাজ্য বিস্তার ঘটায়)।
যখন সৈয়দ রাজবংশ ভারতবর্ষ শাসন করছে তখন লোদী রাজবংশ সিরজিন্দের শাসন কর্তা ছিলেন।
বহলুল লোদী (১৪৫১-১৪৪৯)
তিনি ১৪১৫ খ্রিঃ আলাউদ্দিন আলম শাহকে পরাজিত করে দিল্লির সিংহাসনে বসেন। তিনি ছিলেন লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতা। ১৪৭৯ সালে তিনি জৌনপুর জয় করেন।
তিনি দিল্লিতে সর্বাপেক্ষা বেশিদিন শাসন কার্য চালিয়েছেন প্রায় ৩৮ বছর।
তিনি সিলভারের তৈরি বহলুল মুদ্রা চালু করেছিলেন। তাকে লোদী সাম্রাজ্যের আকবর বলা হত।
সিকান্দার লোদী (১৪৮৯-১৫১৭)
বহলুল লোদীর মৃত্যুর পর তাঁর তৃতীয় পুত্র নিজাম খান, ‘সিকান্দার’ উপাধি নিয়ে দিল্লির সিংহাসনে বসেন (১৪৮৯ খ্রিঃ)।
তিনি ১৫০৪ খ্রিঃ আগ্রাতে তাঁর রাজধানী স্থানান্তর করেন।
সিকান্দার লোদী নগরকোটে বিখ্যাত জ্বালামুখী মন্দির ধ্বংস করেছিলেন।
সিকান্দার লোদী ‘গুলরুখ বা লালফুল’ ছদ্মনামে তাঁর ফার্সি কবিতা প্রকাশ করতেন।
‘গজ-ই-সিকান্দার’ নামক পরিমাপ পদ্ধতির প্রবর্তন করেন।
ইব্রাহিম লোদী (১৫১৭-১৫২৬)
সিকান্দারের মৃত্যুর পর তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র ইব্রাহিম লোদী (১৫১৭ খ্রিঃ)সিংহাসনে বসেন ও “শাহ” উপাধি নেন। ইব্রাহিম লোদীর কনিষ্ঠভ্রাতা জালাল খাঁ।
ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের শাসনকরতা দৌলত খাঁ লোদী এবং কাকা আলম খাঁ লোদো কাবুলের অধিপতি বাবরকে দিল্লি আক্রমণের আমন্ত্রণ জানান।
১৫২৬ খ্রিঃ ২০ এপ্রিল পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবর ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত ও নিহত করে ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন।