logo Menu
বাংলা ইতিহাস ভূগোল সাধারণ জ্ঞান গণিত ভৌত বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান ইংরেজি ভারতের সংবিধান অর্থনীতি শিশু মনস্তত্ত্ব পরিবেশ কম্পিউটার
     ❯   

ইতিহাস চর্চা

ইতিহাস

প্রাচীন ভারত

প্রাগৈতিহাসিক যুগ সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা হরপ্পা সভ্যতা মহেন-জো-দারো সভ্যতা বৈদিক যুগ ঃ আর্য সভ্যতা প্রাগবৈদিক যুগ বা ঋগ্‌বৈদিক যুগ পরবর্তী বৈদিক যুগ মহাজনপদ বৌদ্ধ ও জৈন মগধ সাম্রাজ্য আলেকজান্ডার মৌর্য সাম্রাজ্য মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ মৌর্য পরবর্তী যুগ সংগম যুগ গুপ্ত সাম্রাজ্য অন্যান্য রাজবংশ এবং শাসকগণ

মধ্যযুগের ভারত

গজনির মহমুদ মহম্মদ ঘোরী পৃথ্বীরাজ চৌহান ইলাবরি রাজত্ব খলজি বংশ তুঘলক বংশ সৈয়দ বংশ লোদী বংশ ধর্মীয় আন্দোলন বিজয় নগর সাম্রাজ্য বাহমানি সাম্রাজ্য মুঘল সাম্রাজ্য আঞ্চলিক শক্তির উত্থান

আধুনিক ভারত

ইউরোপীয়োদের আবির্ভাব গভর্নর জেনারেল সিপাহি বিদ্রোহ ১৮৫৭ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উত্থান ভারতের রাজপ্রতিনিধি ভারতীয় জাতীয় আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপ সাংবিধানিক উন্নয়ন ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বিংশ শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধসমূহ

সাংবিধানিক উন্নয়ন


কনস্টিটিউশন্যাল ডেভেলপমেন্ট

রেগুলেটিং অ্যাক্ট 1773

  • কোম্পানির কার্যকারিতা লক্ষ করবার জন্য ব্রিটিশ সরকারের অধিকার।

  • দ্বিপাক্ষিক সরকারের রদ।

  • বাংলার গভর্নরের পরিবর্তিত পদ গভর্নর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।

  • কলকাতায় সুপ্রিমকোর্ট স্থাপন।

  • কোম্পানির কর্মচারীদের নিজস্ব কোনো ব্যাবসা করবার ইচ্ছা রদ। কোনো রকম অনুদান বা উৎকোচ নেওয়া ইত্যাদি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।


পিটস্‌ অ্যাক্ট 1784

  • কোম্পানির বাণিজ্যিক এবং রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রের কার্য পরিচালন সম্পূর্ণ আলাদা করে দেওয়া হল। দুজন ক্যাবিনেট মিনিস্টারকে নিয়ে ছয় জন মেম্বারকে নেওয়া হল কোম্পানির করার জন্য।

  • গভর্নর জেনারেলের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল-এ তিন জন সদস্যকে নেওয়া হল।

  • তিনজন ডিরেক্টরকে নিয়ে একটি গোপনীয় কাউন্সিল গঠিত হল দেশের রাজনৈতিক এবং সাময়িক উন্নতির জন্য। (গভর্নর জেনারেল বা তাঁর কাউন্সিলের এক্তিয়ারে যুদ্ধ ঘোষণা কোনো রকম চুক্তি সম্পাদনার ভার থাকল না। গোপনীয় কাউন্সিলের মতবিহীন)।

  • চেন্নাই এবং মুম্বাইয়ে প্রেসিডেন্সির ক্ষমতা খর্ব হল এবং তাদের কার্যের সব রকম কার্যের দায়িত্ব বাংলার গভর্নর জেনারেল কাউন্সিলের উপর ন্যস্ত হল।

  • এর ফলে ব্রিটিশ সরকারের কোম্পানির উপর নজরদারিতে কিছুটা সুবিধা হল। বস্তুত এর ফলে সমস্ত রাষ্ট্রে কোম্পানির স্থান খর্ব হল।


1786 অ্যাক্ট

  • গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা বৃদ্ধি হল। কাউন্সিলের থেকেও অধিক ক্ষমতা তিনি পেলেন এবং তিনি কামান্ড-ইন চিফ পদমর্যাদায় ভূষিত হলেন।


1793 অ্যাক্ট

  • কোম্পানিকে আরও 20 বছরের জন্য একাকী বাণিজ্য চালাবার মেয়াদ বাড়ানো হল।

  • বোর্ড অফ কন্ট্রোল খরচা এবং ভাতা ভারতীয় মুদ্রায় আদায় করার আদেশ জারি হল।

  • গভর্নর জেনারেল এবং গভর্নরের নিজ নিজ কাউন্সিলের ঊর্ধ্বে উঠে যে-কোনো মত প্রদর্শনের দায়িত্ব দেওয়া হল।

  • আইনের সমস্ত প্রক্রিয়া ভারতীয় ভাষায় তর্জমা করার আদেশ ঘোষিত হল।

  • সরকার এখন থেকে কোর্টের দ্বারা অনুবাদিত লিখিত আইন দ্বারা কাজ করবার ভিত্তি রচনা করল।


1813 চার্টার অ্যাক্ট

  • কোম্পানির বাণিজ্য চা ছাড়া একাকিত্ব বাতিল হল এবং চিনের সঙ্গে বাণিজ্য রদ হল। এর ফলে কোম্পানি বেশিরভাগ বাণিজ্য সম্পাদনের কাজ চালাবার সুযোগ পেল। সমস্ত ইংরেজ ব্যাবসাদার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চালাতে লাগল কিছু সামগ্রীর উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রইল।

  • বার্ষিক এক লক্ষ টাকা ভারতীয়দের শিক্ষার বিকাশে কর ধার্য হল।

  • খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের ধর্ম প্রচারের কাজ ভারতে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হল।


1833 চার্টার অ্যাক্ট

  • কোম্পানির চা এর উপর একাকিত্ব বাণিজ্যের আধিপত্য রদ হল এবং চিনের সঙ্গে বানিজ্য পুরোপুরিভাবে বন্ধ হল। কোম্পানি যত শীঘ্র সম্ভব ব্যাবসা গোটাতে আদেশ দেওয়া হল।

  • ইউরোপিয়ানদের ভারতে প্রবেশ করে জমি দখল বা সম্পত্তির মালিকানাভিত্তিক কোনো রকম কৌশলের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হল কেবল ব্রিটিশদের কলোনি করে থাকবার আদেশ আইন দ্বারা গ্রাহ্য হল।

  • বাংলার গভর্নর জেনারেলের পদকে ভারতের গভর্নর জেনারেলের পদে উন্নীত করা হল; প্রথম গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংকের হাতে সমস্ত ক্ষমতা অর্পিত হল। তার কাউন্সিল পরিচালনা এবং আয় ব্যয় সংক্রান্ত হিসাব রাখতে আরম্ভ করল।

  • বোর্ড অফ কন্ট্রোলে প্রেসিডেন্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পদে উন্নীত হলেন (ইন্ডিয়ান অ্যাফেয়ার্স)।

  • ম্যাকাউলে, যিনি প্রথম ল মেম্বার হিসাবে গভর্নরের কাউন্সিলে ঢুক্লেন। তাঁর ভোটদান ক্ষমতা ছিল না। কাউন্সিলের সদস্যপদ সংখ্যা চারে বৃদ্ধি পেল এবং এর সঙ্গে ভারতীয় সংবিধানের সূত্রপাত হল।

  • একটি ল কমিশন গঠন করা হল আইনের কোডিফিকেশনের জন্য।

  • কোম্পানির তত্বাবধানে আইন, ধর্ম, জন্মস্থান, বর্ণ, চাকুরি ইত্যাদি না দেখে সমস্ত মানুষকে সমান বিচারের মধ্যে আনা হল।


1853 চার্টার অ্যাক্ট

  • কোম্পানির ক্ষমতার চুক্তি কিয়ৎকাল বর্ধিত হল এবং এদের ভারতীয় ভূখন্ডের উপর আধিপত্য ব্রিটিশ মুকুটের অধীনে রাখিবার জন্য পরবর্তী কিছু সময় পর্যন্ত আদেশ দেওয়া হইল।

  • কোর্ট অফ ডিরেক্টরের সংখ্যা 24 থেকে কমিয়ে 18য় আনা হল এবং তাদের মধ্যে ছয় জন সদস্যকে উপরমহল থেকে পছন্দ করা হল।

  • ল মেম্বারগণ গভর্নর জেনারেল কাউন্সিলের পূর্ণতা প্রাপ্ত করল।

  • বিধানসভা সর্বপ্রথম স্বতন্ত্র উচ্চতলীয় কাজে আরোপিত হল।

  • এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের কাজে প্রশ্ন করা যেত এবং এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বিধানসভাকে ভোট প্রদান করবার ক্ষমতা থাকত।

  • সিভিল সার্ভিসে ভারতীয়রা বহির্ভূত ছিল; যারা এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেত তাদের বার্ষিক পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠতা প্রধান করতে হত।


গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট 1858

  • কোম্পানির ক্ষমতা শেষ হল এবং ব্রিটিশ মুকুটের ছত্রছায়ায় ভারতের শাসনতন্ত্র চলে এল।

  • দ্বিপাক্ষিক সরকারের অবসান হল। কোড়্রট অফ ডিরেক্টরস এবং বোর্ড অফ কন্ট্রোল, সেক্রেটারি অফ স্টেট নাম (ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের সদস্য) একটি পদের সূচনা করলেন। 15 জন সদস্য (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল) তাঁর সাহায্যের জন্য থাকলেন। ব্রিটিশ মুকুটের ক্ষমতা প্রদর্শন করাই তাঁর কাজ ছিল।

  • তিনি গভর্নর জেনারেল ভাইসরয় পদমর্যাদায় ভূষিত হলেন। তাঁর অধীনে সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং এগজিকিউটিভ কাউন্সিলে বিশিষ্ট উচ্চপদযুক্ত কর্মচারীরা কার্য নির্বাহ করত।

  • একটি একক এবং প্রচন্ড শক্তিশালী শাসনতন্ত্র চালু হল।


ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট 1861

  • একটি পঞ্চম সদস্য যাঁর জুরি হবার কথা, তাঁকে ভাইসরয়ের কাউন্সিলে প্রার্থী করানো হল।

  • বিধানসভার জন্য ছয় থেকে বারোজন সদস্য নির্বাচিত হল। ভাইসরয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলে এখন কর্মচারী সংখ্যা নন-অফিসিয়াল কর্মচারীদের আগমনে কিছু বর্ধিত হল। কিছু ভারতীয় উচ্চ পদের সদস্য নন-অফিসিয়াল সিট প্রাপ্ত হলেন। কিছু বিখ্যাত সদস্যের বিধানসভায় আগমন ঘটল কিন্তু তাঁদের হাতে কোনো ক্ষমতা ছিল না।

  • এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের নতুন নামকরণ হল ‘সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল’।

  • ভাইসরয় জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে অরডিন্যান্স জারি করতে পারতেন।


ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট 1892

  • সমগ্র ভারতের এবং ক্ষুদ্র রাজ্যের বিধানসভায় দুটি উন্নতি সাধনের কথা বলা হয়েছিল।

  • যদিও অফিসিয়াল মেম্বারদের ধরে রাখা হল, কিন্তু নন-অফিসিয়াল সদস্যদের বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সে এবং প্রভিন্সিয়াল লের্জিসলেটিভ কাউন্সিলে অর্পণ করা হল। জি কে গোখলে, আশুতোষ মুখার্জী রাসবিহারী ঘোষ এবং এস এন ব্যানার্জী প্রমুখ লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে যোগদান করেন।

  • কাউন্সিলে বার্ষিক বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা করবার ক্ষমতা ছিল এবং তাঁর উপর মহলকে প্রশ্ন করতে পারতেন।

  • ছয় দিন আগে বিজ্ঞপ্তি সহকারে তাঁরা সরকারকে জনগণের স্বার্থে প্রশ্ন করতে পারতেন একটি সীমার মধ্যে।


ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট 1909 মোর্লে-মিন্টো অ্যাক্ট

  • মোর্লে ছিলেন সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং মিন্টো ছিলেন ইন্ডিয়ান ভাইসরয়।

  • সেন্টার এবং প্রভিন্সে লেজিসলেটিভ কাউন্সিল বর্ধিত হল।

  • সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের সৌজন্যে। একজন ভারতীয় সদস্যের গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্তি হল।

  • প্রভিন্সিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে নির্বাচিত নন-অফিসিয়াল কিছু সদস্য নিয়ে সদস্যপদ বাড়ানো হল এবং সেহেতু অফিসিয়াল মেজরিটি আর থাকল না। নন-অফিসিয়াল সদস্যদের কার্যক্ষমতা বেড়ে গেল এবং তাঁরা এখন থেকে বাজেটের সংকল্প গ্রহণ থেকে শুরু করে কিছু জনগণের সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে আরম্ভ করলেন।

  • সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে ভোটদান পর্ব ঢোকানো হল কিন্তু অফিসিয়াল মেজরিটি স্থায়ী রইল।

  • সব থেকে জ্ঞাতব্য বিষয় হল মুসলিমদের আলাদা প্রতিনিধিত্বের সুযোগ করে দেওয়া দেওয়া হল। সুতরাং সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতার বীজ রোপন করা হল।


গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট 1919 মন্টেগু-চেমসফোর্ড রিফর্ম

  • দ্বৈত শাসন প্রথা প্রভিসেন্স চালু হল। এটা একটি ধাপ দ্বারা ভারতীয়দের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরিত করা যেতে পারে। প্রভিন্সিয়াল শাসনের বিষয়কে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হল-হস্তান্তরিত এবং সংরক্ষিত। হস্তান্তরিত বিষয়গুলি গভর্নর দ্বারা চালিত হত তাঁর লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্যদের সাহায্যে। গভর্নর এবং তাঁর এগজিকিউটিভ কাউন্সিল সংরক্ষিত বিষয়গুলি দেখতেন, বিধানসভার মতের কোনো প্রয়োজনীয়তা থাকত না।

  • দায়িত্ব হস্তান্তর প্রথাঃ শাসনতন্ত্রের বিষয়কে দুটি শাখায় ভাগ করা হল-সেন্ট্রাল এবং প্রভিন্সিয়াল। সমগ্র রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি যেমন রেলওয়েজ এবং আর্থিক লেন্দেন, এইগুলিকে সেন্ট্রালের হাতে দেওয়া হল এবং প্রভিন্সে শাসনতন্ত্রের বিষয়গুলি প্রভিন্সিয়ালের উপর ন্যস্ত হল।

  • প্রভিন্সিয়াল লেজিসলেচার কেবলমাত্র লেজিসলেটিভ কাউন্সিল দ্বারা গঠিত হল।

  • গভর্নর জেনারেল কাউন্সিলে তিনজন নতুন সভ্যকে নেওয়া হল এবং ভারতীয়দের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট। ভারতীয় সভ্যদের হাতে এল আইন, শিক্ষাব্যবস্থা, শ্রমকল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং কলকারখানা।

  • সেন্ট্রালের এখন দুই কক্ষ বিশিষ্ট লেজিসলেজারের উদ্‌বোধন হল। বস্তুত এর চালনা 1935 অ্যাক্ট এর পরে হয়েছিল।

  • সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্বের সুযোগ দেওয়া হল শিখ, খ্রিস্টান এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের।

  • সেক্রেটারি অফ স্টেটকে বেতন দেওয়া হত ব্রিটিশ ভান্ডার থেকে।


গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট (1935)

  • অল ইন্ডিয়া ফেডারেশনের ভিত্তি স্থাপন ব্রিটিশ প্রভিন্স এবং নৃপতি শাসিত রাজ্যের যৌথ প্রচেষ্ঠার প্রিন্সিলি স্টেট এর যোগদান সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাকৃত ছিল সেইজন্য এই ফেডারেশন স্থায়ী হয়নি।

  • সেন্টারে দ্বৈত শাসনের সূচনা বৈদেশিক সম্পর্ক এবং সামরিক শাসন গভর্নর জেনারেলের অধিকারে এবং সন্ধিসংক্রান্ত চুক্তির বিষয়গুলি গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিলের হাতে এসে গেল। অবশিষ্টাংশ বিষয়গুলির ক্ষমতা গভর্নর জেনারেল নিজের দিকে আনিয়ে নেন।

  • সেন্ট্রাল লেজিসলেচার দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রকোষ্ঠে, একটি কাউন্সিল অফ স্টেট এবং অপরটি সন্ধিসংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদনের জন্য দেওয়া হল। কাউন্সিল অফ স্টেট একটি স্থায়ী গোষ্ঠী যার এক তৃতীয়াংশ সদস্যপদ খারিজ হত এবং নতুন সদস্য নেওয়া হত তিন বছরে একবার। ফেডারেশন অ্যাসেম্বলী পাঁচ বছরের জন্য স্থায়ী থাকত।

  • এর দ্বারা একটি ত্রি-স্তর বিশিষ্ট ক্ষমতার ভাগ সৃষ্টি হলঃ ফেডারেল লেজিসলেটিভ লিস্ট। প্রভিন্সিয়াল লেজিসলেটিভ লিস্ট এবং কনকারেন্ট লেজিসলেটিভ লিস্ট। অবশিষ্ট লেজিসলেটিভ ক্ষমতা গভর্নর জেনারেলের অধিকারে রক্ষিত হল। ফেডারেল লেজিসলেচারে কোনো বিল পাস হলেও গভর্নর জেনারেল সেই বিলে ভেটো প্রদান করতে পারতেন। কিন্তু গভর্নর জেনারেল কোনো অ্যাক্ট চালু করলে কাউন্সিলের মাথা তাহাকে নাকচ করতে পারতেন।

  • প্রভিন্সিয়াল অটোনমি দ্বৈত শাসন প্রথাকে উৎখাত করল। হস্তান্তরিত এবং সংরক্ষিত পদ্ধতির অবসান ঘটল এবং পূর্ণ স্বনির্ভর সরকার দেশের পুরো দায়িত্বভার গ্রহণ করল, কিছু নিরাপত্তার সঙ্গে। সরকারকে আইনি সমর্থন দেওয়া হল।

  • গভর্নর প্রভিন্সিয়াল এগজিকিউটিভগণের প্রধান হলেন এবং তিনি সর্বদা মন্ত্রীদের মতামত নিয়ে চলতেন। যদিও এই অ্যাক্ট গভর্নরকে স্বেছাপূর্ণ কাজের অধিকার দিয়েছিল। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে।

  • এটি একটি ফেডারল কোর্টের সূচনা করেছিল যা 1937 সালে কার্যকারিতা আরম্ভ করে। কনস্টিটিউশনের বক্তব্য তর্জমা করাই এর প্রধান কাজ ছিল। একটি ফেডারেল ব্যাংক (রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল থেকে সেক্রেটারি অফ স্টেট পদটির অবসান হয়েছিল।

  • আলাদা নির্বাচন পদ্ধতি প্রসারিত হয়েছিল এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ান, খ্রিস্টান এবং ইউরোপিয়ানদের অন্তর্ভূক্তি হয়েছিল।

  • বার্মে এবং এডেনকে ভারত থেকে আলাদা করা হল এবং উড়িষ্যা ও সিন্ধ নামে দুটি আলাদা রাজ্য হল।