আধা সামরিক এবং সংরক্ষিত সৈন্যবাহিনী (Paramilitary and Reserved Forces)
ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ (I.T.B.P)
এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬২ সালে, চিন আক্রমণের পর।
এরা মূলত উত্তর সীমান্তে নিয়োজত হয় সীমান্তে নজর রাখা এবং বেআইনি দ্রব্য পাচার ও অনুপ্রবেশ বন্ধ করার জন্য।
ন্যাশ্নাল সিকিউরিটি গার্ডস (N.S.G)
এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে।
দেশে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
এরা উচ্চপর্যায়ে শিক্ষাপ্রাপ্ত সৈন্যদল যাতে জঙ্গিদের মোকাবিলা উপযুক্তভাবে করতে পারে।
সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স(C.I.S.F)
এটা বিচারক বি. মুখার্জির সুপারিশে ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত।
এর উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্র সরকারের শিল্প সংগঠনগুলিকে নজরে রাখা।
অসম রাইফেল্স্ (Assam Rifles)
এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩৫ সালে এবং দেশের সবচেয়ে পুরাতন আধা সামরিক সৈন্যদল।
এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল উত্তর-পূর্বে আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজর রাখা এবং অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ডে বিদ্রোহ বা অভ্যুত্থানের প্রতিরোধ করা।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (B.S.F)
এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৫ সালে।
আন্তর্জাতিক সীমান্তে এরা সতর্ক দৃষ্টি রাখে যাতে কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে।
সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (C.R.P.F)
এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৩৯ সালে।
এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের পুলিশকে আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সাহায্য করা।
সি আর পি এফ-এর ৮৮তম ব্যাটেলিয়ন “মহিলা ব্যাটেলিয়ন” নামে পরিচিত। এরা কাজ শুরু করেছিল ১৯৮৬ সালের ৩০শে মার্চ। এটা ছিল বিশ্বের প্রথম আধা সামরিক বাহিনী যার সবাই মহিলা।
ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্প্স্ (N.C.C)
এটা স্থাপিত হয়েছিল ১৯৪৮ সালে।
এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ে আগ্রহ তৈরি করা যাতে সশস্ত্র বাহিনী বাড়াতে মানব-শক্তি সংরক্ষিত থাকে।
টেরিটোরিয়াল আর্মি (T.A)
এটা স্থাপিত হয়েছিল ১৯৪৮ সালে।
এটা হচ্ছে স্বতপ্রবৃত্ত হয়ে আংশিক সময়ের জন্য সৈনিক দল যাতে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের কোনো অসামরিক ব্যক্তি (কোনো পেশাদার সৈনিক নয়) দেশের প্রতিরক্ষায় সাহায্য করতে যোগদান করতে পারে।
হোম গার্ডস (Home Guard)
এটা স্থাপিত হয়েছিল ১৯৬২ সালে। শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য পুলিশকে সাহায্য করা, প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সাহায্য করা এবং কোনো তাৎক্ষণিক ঘটনায় স্থানীয় আধিকারিককে সাহায্য করাই ছিল এর কাজ।
কোস্ট গার্ড (Coast Guard)
এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৮ সালে।
এর উদ্দেশ্য ছিল সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা এবং ভারতের সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা।
ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (I.B)
এটা স্থাপিত হয়েছিল ১৯২০ সালে।
এর উদ্দেশ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা বিষয়ে গোপন খবর জোগাড় করা।
প্রকৃতপক্ষে সেন্ট্রাল স্পেশাল ব্রাঞ্চ (সি এস বি)হিসাবে ১৯৮৭ সালে এটা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পুনরায় নাম পরিবর্তিত হয়ে আই বি হয়েছিল ১৯২০ সালে।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (C.B.I)
এটা স্থাপিত হয়েছিল ১৯৫৩ সালে।
এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারি কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার, লোক ঠকানো, তহবিল তছরুপ এবং জালিয়াতি ঘটনার অনুসন্ধান করা।
আন্তর্জাতিক অপরাধের ক্ষেত্রে সি বি আই ইন্টারপোলের সঙ্গে যৌথভাবে অনুসন্ধান করতে পারে।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (N.C.R.B)
এটা স্থাপিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে।
এর উদ্দেশ্য ছিল জাতীয়, আন্তরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সংঘটিত অপরাধের পরিসংখ্যান জোগাড় করে তদন্তকারী সংস্থাদের সাহায্য করা।
র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (R.A.F)
এটা স্থপিত হয়েছিল ১৯৯২ সালে।
এটা সি আর পি এফ নিয়োজিত কম্যান্ডের অধীনস্থ।
১০ ব্যাটেলিয়ন সি আর পি এফ-কে পুনঃসজ্জিত করা হয়েছে দেশে জাতিগত দাঙ্গা মোকাবিলা করার জন্য।