ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy)
ভারতীয় নৌবাহিনী তিনটি কম্যান্ড নিয়ে গঠিত
নং | কম্যান্ডস | প্রধান কার্যালয় | |
---|---|---|---|
১ | পূর্ব কম্যান্ড | বিশাখাপত্তনম | |
২ | দক্ষিণ কম্যান্ড | কোচিন | |
৩ | পশ্চিম কম্যান্ড | মুম্বাই |
প্রত্যেক কম্যান্ডের দায়িত্বে থাকেন ভাইস অ্যাডমিরাল।
নৌবাহিনীর প্রধান হচ্ছে ‘চিফ অফ দ্য নাভাল স্টাফ’ পদাধিকার বলে যে অ্যাডমিরাল।
ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম বিমানবাহী জাহাজ হল আই এন এস বিক্রান্ত। ভারতের সবচেয়ে বড়ো বিমানবাহী জাহাজ হচ্ছে আই এন এস বিরাট। বিক্রান্ত অবসর নেওয়ার পর বিরাট হচ্ছে ভারতীয় উপকূলের প্রধান রক্ষী। এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে এবং ২০১০ সাল পর্যন্ত একটানা কাজে যুক্ত থাকবে।
আই এন এস চক্র হল ভারতের প্রথম পারমাণবিক ডুবোজাহাজ।
ভারতের প্রথম স্বদেশে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী জাহাজ আই এন এস বিভূতি মুম্বাইয়ের মাজগাঁও বন্দরে ভাসানো হয়েছিল।
ভারতের প্রথম যুদ্ধ জাহাজ আই এন এস সাবিত্রী ১৯৯০ সালে হিন্দুস্থান শিপইয়ার্ড লিমিটেড-এ প্রস্তুত হয়েছিল।
আই এন এস শক্তি হচ্ছে ভারতের প্রথম স্বদেশে নির্মিত ডুবোজাহাজ।
আই এন এস দিল্লি হচ্ছে ভারতের প্রথম স্বদেশে নির্মিত সবচেয়ে বড়ো ও কুশলী যুদ্ধজাহাজ। একে মাজগাঁও বন্দরে ১৯৯১ সালে ভাসানো হয় এবং কাজ-শুরু করে ১৯৯৭ সালে।
আই এন এস কদম্ব কর্ণাটকের কারওয়ারে অবস্থিত ভারতের সবচেয়ে বড়ো নৌ-ঘাটি। ‘সীবার্ড’ প্রকল্পের অধীনে এটি ২০০৫ সালে কাজ শুরু করে।
আই এন এস তলোয়ার হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য রাশিয়ায় প্রস্তুত তিনটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নজরদারি রণতরির প্রথমটি।
নিলগিরি হচ্ছে ভারতের প্রথম স্বদেশে প্রস্তুত নজরদারি রণতরি। এটা মাজগাঁও বন্দরে প্রস্তুত হয়েছিল।
আই এন এস প্রহার হচ্ছে বিশ্বের দ্রুতগামী ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ, কাজ শুরু করেছিল ১৯৯৭ সালে।
আই এন এস মাইসোর হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনীর স্বদেশে তৈরি সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে।
আই এন এস বীজ হচ্ছে আগে থেকেই নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রবাহী রণতরী। কাজ শুরু করেছিল ২০০৫ সালে।
আই এন এস অরিহানত হচ্ছে স্বদেশে প্রস্তুত পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন ডুবোজাহাজ, যার প্রতিকী ভাসানো হয়েছিল ২০০৯ সালে।
আই এন এস চক্র-২ হচ্ছে ২০১২ সালে রাশিয়া থেকে প্রাপ্ত আকুলা শ্রেণির ডুবোজাহাজ।
আই এন এস তর্কাশ হচ্ছে রাশিয়ার তৈরি দ্বিতীয় তলোয়ার শ্রেণির নজরদারি রণতরি। এটা সুপারসনিক ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র সমৃদ্ধ এবং ২০১২ সালে ৯ই নভেম্বর রাশিয়ার ইয়ানতার জাহাজ নির্মাণস্থানে নৌবাহিনীতে যোগদান করেছিল।
আই এন এস তেজ্ ফ্রিগেট- এপ্রিলের ২৭ তারিখে ভারতীয় নৌবাহিনীর রাশিয়ার কালিনিন্ গ্রাদের ইয়ানতার জাহাজ নির্মাণ স্থানে নতুন তৈরি আই এন এস তেজ রণতরিটিকে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে।
আই এন এস সহ্যাদ্রি স্বদেশে প্রস্তুত নজরদারি যুদ্ধজাহাজ আই এন এস সহ্যাদ্রি ডুবোজাহাজ ধ্বংসকারী অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীতে কাজ-শুরু করেছিল ২০১২ সালের ২১শে জুলাই। ‘আই এন এস শিবালিক’ এবং আই এন এস সাতপুরা-র পর এই রণতরিটি ছিল শেষ নজরদারি যুদ্ধজাহাজ। এই শ্রেণির প্রথম দুটি রণতরি ‘আই এন এস শিবালিক’ এবং ‘আই এন এস সাতপুরা’ কাজ শুরু করেছিল যথাক্রমে ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে এবং ২০১১ সালের আগস্ট মাসে।
আই এন এস দ্বীপরক্ষক- যুদ্ধকালীন অবস্থায় উল্লেখযোগ্য লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাড়াতে নৌবাহিনী কাভারাত্তিতে একটি পূর্ণমাত্রায় নৌঘাঁটি, আই এন এস দ্বীপরক্ষক, চালু করে ২০১২ সালের ৩০শে এপ্রিল।