ভারতের আণবিক গবেষণা (India’s Atomic Research)
১৯৪৮ সালের ১০ই আগস্ট ডঃ হোমি জে. ভাবার তত্ত্বাবধানে (চেয়ারম্যানশীপে) অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন স্থাপনের মধ্য দিয়ে ভারতের আণবিক শক্তির গবেষণায় যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরবর্তীকালে আণবিক শক্তি কর্মসূচীর রূপায়ণের উদ্দেশ্যে ১৯৫৪ সালে ডিপার্ট্মেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি (ডি এ ই) স্থাপিত হয়েছিল।
ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (বার্ক) (বি এ আর সি) ১৯৫৭ সালে ট্রম্বেতে (মহারাষ্ট্র) স্থাপিত হয়েছিল। এটা হচ্ছে ভারতের বৃহত্তম আণবিক গবেষণা কেন্দ্র। বার্ক-এর আণবিক রিঅ্যাক্টরগুলি হল-অপ্সরা (ভারতের প্রথম আণবিক রিঅ্যাক্টর), সার্কাস, জারলিনা, ধ্রুব, পূর্ণিমা I ও II এবং কামিনী (ভারতের প্রথম দ্রুত ব্রীডার নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর কালপক্কম-এ অবস্থিত)।
বার্কস রিসার্চ সেন্টার
ভ্যারিয়েরল্ এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার (কলকাতা) হাই অল্টিটিউড রিসার্চ ল্যাব (গুলমার্গ), নিউক্লিয়ার রিসার্চ ল্যাব (কাশ্মীর) এবং সিসমিক স্টেশন (গৌরীবিদানুর, কর্ণাটক)।
ইন্দিরা গান্ধী সেন্টার ফর অ্যাটমিক রিসার্চ ১৯৭১ সালে কালপক্কমে (চেন্নাই) স্থাপিত হয়েছিল। এই কেন্দ্র সোডিয়াম কুলড ফাস্ট ব্রীডার রিঅ্যাক্টর এর স্বদেশি প্রযুক্তির উপর গবেষনা ও উন্নয়নে যুক্ত।
সেন্টার ফার অ্যাডভান্সড টেকনোলজি (সিএটি) স্থাপিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে ইন্দোরে। এই কেন্দ্র লেসার, ফিউশন এবং অ্যাক্সেলারেশনের ক্ষেত্রে গবেষণা এবং উচ্চ প্রযুক্তির উদ্ভাবনে যুক্ত।
পোখরান পরীক্ষা
ভারত এখনও পর্যন্ত ৬টি পরীক্ষামূলক আণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। প্রথম আণবিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল ১৯৭৪ সালের ১৮ই মে রাজস্থানের পোখরানে। অন্যান্যগুলি ঘটানো হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১১ই মে এবং ১৩ই মে ওই পোখরান এলাকাতেই। এই পরীক্ষাগুলির পেছনে ভারতে প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আণবিক শক্তিকে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার।