নোবেল প্রাইজ (Nobel Prize)
এটি পৃথিবীর সবথেকে লোভনীয় আন্তর্জাতিক খেতাব। ১৮৯৫ সালে এটা শুরু করেছিলেন ডাইনামাইট আবিষ্কারক অ্যালট্রেড বার্নাড নোবেল (১৮৩৩-৯৬)।এই খেতাব দেওয়া হয় ১০ই ডিসেম্বর যেদিন হল অ্যালফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী। নোবেল তাঁর আবিষ্কারের পেটেন্ট-এর মাধ্যমে যা রোজগার করেছিলেন তা দিয়ে একটা ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন যার সুদ থেকে নোবেল প্রাইজের অর্থ দেওয়া হয়।
প্রত্যেক বছর নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয় সেই সব বিখ্যাত ব্যক্তিদের যারা পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র, ঔষধ, শান্তি, সাহিত্য এবং অর্থনীতি ক্ষেত্রে কোনো কৃতিত্বপূর্ণ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
১৯০১ সাল থেকে অর্থনীতি ছাড়া অন্যসব বিভাগেই নোবেল প্রাইজ দেওয়ার প্রথা চালু। ১৯৫৭ সালে অর্থনীতি ক্ষেত্রে নোবেল প্রাইজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে প্রথম দেওয়া শুরু হয়।
শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় নরওয়ের অসলোতে এবং অন্যান্য পুরস্কার দেওয়া হয় সুইডেনের স্টকহোম-এ।
বিভিন্ন ধরণের প্রাইজ প্রতি বছর দেওয়া হয়। প্রত্যেক প্রাপক বা বিজেতা একটি সোনার মেডেল, একটি মানপত্র এবং নোবেল ফাউন্ডেশনের দ্বারা নির্ধারিত অর্থসমষ্টি পেয়ে থাকেন। ২০১২ সালে প্রতিটি প্রাইজের মূল্য ছিল ৮ মিলিয়ন সেক্ (১.২ মিলিয়ন ইউ এস ডলার)।
প্রতি বছর প্রত্যেক প্রাইজের জন্য ১০০ থেকে ২৫০ জনের মনোনয়ন জমা পড়ে। কেউ যদি নিজেকে মনোনীত করেন তিনি স্বাভাবিক ভাবেই অযোগ্য বিবেচিত হন। মরোণোত্তর কাজের ক্ষেত্রে এই পুরস্কার বিবেচিত হয় না। অবশ্য পুরস্কার পাবার কথা ঘোষণা করার পরে মারা গেলেও পুরস্কৃত করা হয়।
বিংশ শতাব্দীতে পুরস্কার পিছু বিজেতার সংখ্যা গড়পড়তায় যথেষ্ট বেশি হওয়া সত্ত্বেও একটি প্রাইজ তিনজনের বেশি মানুষের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থির অবস্থার জন্য ১৯৪০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত নোবেল প্রাইজ দেওয়া বন্ধ ছিল।